জমজম কূপ সম্পর্কে চ্যাট জিপিটি-এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) কে প্রশ্ন করে যা জানা গেল-
চ্যাট জিপিটিকে বলা হলো, ‘জমজম কূপের পানি সম্পর্কে বলুন’। উত্তরে সে যা বলল, তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
জমজম কূপের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
- উৎপত্তি:
ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত ইবরাহিম (আঃ) তাঁর স্ত্রী হাজেরা (আঃ) এবং পুত্র ইসমাইল (আঃ)-কে মরুভূমিতে রেখে যান আল্লাহর নির্দেশে। যখন শিশুর জন্য পানি প্রয়োজন হয়, তখন হাজেরা (আঃ) সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে ছুটোছুটি করেন। সেই মুহূর্তে আল্লাহর কুদরতে জমজম কূপের পানি প্রবাহিত হয়। - পবিত্রতা:
জমজমের পানি আল্লাহর বিশেষ দান হিসেবে গণ্য হয়। এটি পবিত্র, জীবাণুমুক্ত, এবং দীর্ঘকাল ধরে একইভাবে স্বচ্ছ ও সুরক্ষিত রয়েছে।
জমজম কূপের বৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্য:
- অপরিশোধিত বিশুদ্ধ পানি:
জমজম কূপের পানি কোনো রাসায়নিক পরিশোধন ছাড়াই পান করার উপযোগী। এতে উচ্চমাত্রায় খনিজ পদার্থ ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে। - ব্যাকটেরিয়ামুক্ত:
আধুনিক গবেষণা বলেছে, জমজম কূপের পানিতে ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান নেই। এটি প্রাকৃতিকভাবে জীবাণুমুক্ত থাকে। - নন-ড্রাইং কূপ:
জমজম কূপ কয়েক হাজার বছর ধরে পানি সরবরাহ করছে, অথচ এটি কখনো শুকিয়ে যায়নি।
জমজমের পানির ধর্মীয় গুরুত্ব:
- দোয়া কবুলের মাধ্যম:
জমজমের পানি পান করার সময় নির্দিষ্ট দোয়া করলে তা কবুল হয় বলে মুসলিমরা বিশ্বাস করেন।
দোয়া: “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়াওঁ, ওয়া রিজকান ওয়া সিয়া, ওয়া শিফা’আ মিন কুল্লি দা’।”
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, প্রশস্ত রিজিক এবং সকল রোগ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করছি। - হজ ও উমরাহ:
হজ ও উমরাহ পালনকালে জমজমের পানি পান করা এবং এটি সঙ্গে করে নিয়ে আসা একটি সুন্নত। - শক্তি ও বরকত:
হাদিসে বলা হয়েছে, জমজমের পানি “যে উদ্দেশ্যে পান করা হয়, তা পূরণ হয়।” (সহীহ মুসলিম)
জমজম কূপ সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য:
- কূপটি প্রায় ৩০ মিটার গভীর।
- জমজমের পানি কখনো দুর্গন্ধ বা রঙ পরিবর্তন করে না।
- এটি কাবা শরীফ থেকে প্রায় ২০ মিটার দূরে অবস্থিত।
- জমজম কূপের পানি বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা নিয়ে যান এবং এটি বিশেষ উপহার হিসেবে বিবেচিত।