বছর শেষে
মিনা রবিউল
দেখতে দেখতে একটি বছর শেষে
কমে গেলো জীবনের আয়ু
ভুলে থাকতে চেয়েছি কতোকিছুই
উত্তাল অশান্ত হয়েছে দ্রোহের বায়ু ।
সেই কবে ও হাত ছেড়েছ একা
এখনো নিদহারা হ্নদয়
বছর শেষে ক্লান্তির প্রহর
তবুও কাটছে বেহায়া সময়।
নূতন বছরে সুখে থাকো সুখ পাখি
যদি মনে হয় স্মরণ করো
যে হাত ছেড়ে গেছো দূরে
বুঝে নিও এখনো দাঁড়িয়ে একাকী।
একা থাকা কষ্ট নয়নে অশ্রু ঝরে
কেউ ফিরে দেখে না
যেদিন ছিল হিরন্ময় সুখ বিলাস
নিরবে নিভৃতে কেঁদো না।
হয়তো এ বছর সুখের সংসার করে
কাটাও একধরণের তাপে
আমিও সুখে থাকি অন্তরে
হোক অনুরাগ কিংবা তাপে।
কর্ণফুলীর তীরে
ইমরান নাজির
কর্ণফুলীর তীরে
তাকাও যদি ফিরে
দেখবে– খরস্রোতা এক নদী
ছুটছে নিরবধি।
নদীর দুকূল ঘেঁষে
যাচ্ছে জাহাজ ভেসে,
সুদূর– উতাল বারীশ পানে
অগ্নিসখের টানে।
সাম্পানেরই হাট,
যেন সদরঘাট।
সাম্পানেরই মাঝি
নিয়ে যেতে রাজি
দিলে পাঁচ ও দশেক টাকা,
পান্থ নিয়ে ভিড়বে ওকূল
সাম্পানওয়ালা কাকা।
করো ভ্রমণ যদি
কর্ণফুলীর সাম্পানে
আর্তি যত দূর হবে সব
খরস্রোতা এই গাঙবানে।
দেখতে পাবে সংখ্যাতীত
করছে জাহাজ ভীড়,
কর্ণফুলী নদীই যেন
ওদের আসল নীড়।
জুড়িয়ে যাবে লোচন
অস্ত গেলে পূষণ।
জাহাজগুলোর মাঝে,
চোখধাঁধানো হরেক রকম
আলোকসজ্জা সাজে।
বিপর্যয়ের মাঝেই দাঁড়িয়ে আছি
শফিকুল ইসলাম সোহাগ
অতি সন্নিকটেই বেলা ফুরাই
সংবেদনশীল শূন্যতায় কেটে যাই রক্তপ্রহর
জবান খোলে বসি রুক্ষ আবেগের খেয়ায়
দম্ভের ফেরাউনের ধ্বংসও দেখেছি অনেক
তবুও প্রশস্ত সুখে উঠে দাঁড়াই
মোনাজাত ধরি অবিনশ্বর পথে
নির্ভাবনার বালুচরে ক্ষুদ্রতা সরিয়ে হাঁকি
মাকড়সার জ্বাল দংশন করি দাহকালের তাপে
বিপর্যয়ের মাঝেই দাঁড়িয়ে আছি এই আমি
জাহান্নামের আগাছা ছেঁটে জীবনের শাখায়
বিক্ষত নগরে বসে যাতনার শোক
অকাতরে রক্তঘাম ঝরাই গতিহীন মানুষ
সংগ্রামী যোয়ান হাল ধরি রুক্ষ মরুভূমে
ক্যাম্পাসের পাখিহীন নিরব সমর্থন যেনো
বিবেক তলানিতে শুকায় জীবনের নদী।
এভাবেই ক্ষয়ে যায় আমাদের জীবন
জাগায় অন্তরগহীন ত্যাগ মহিমার আলো
সংযম শিখায় বিভেদহীন মানস সুন্দর
আত্মশুদ্ধির অবিনশ্বর গড়ি ভাবনার স্মারক