স্মৃতির মনিকোঠায় দৈনিক ইত্তেফাক 

জিল্লুর রহমান জিল্লু 

৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার হৃদয়ের সাথে মিশে আছে দৈনিক ইত্তেফাকের নাম। গণমানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে পাঠক নন্দিত পত্রিকা “দৈনিক ইত্তেফাক”। ইত্তেফাকের সাথে আমার নিগুঢ় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৯০ দশক থেকে। দাদা ভাই, রোকনুজ্জামান খান পরিচিত কচিকাঁচার আসরের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে ইত্তেফাকের প্রেমে পড়া। আমাদের দক্ষিণ বাংলার অর্থাৎ বৃহত্তর বরিশালের গর্ব প্রথিতযশা সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত জনপ্রিয় প্রিন্টমিডিয়া দৈনিক ইত্তেফাক আজ বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে গেছে।

পাকিস্তান আমল থেকে সবার মনে নির্ভযোগ্য, নিরপেক্ষ নিউজ পেপার হিসেবে পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে দৈনিক ইত্তেফাক। বাংলাদেশের প্রতিটি ইতিহাসের চাক্ষুষ সাক্ষী হয়ে আছে  দৈনিক ইত্তেফাক । ইত্তেফাকের ৭২ বছরের পথ পরিক্রমায় সাথে আমিও যুক্ত আছি সেই শিশুবেলা থেকে। জন্ম থেকে ইত্তেফাকের নাম শুনে, পেপার দেখে, পেপার পড়ে বড় হয়েছি। ইত্তেফাকের শিশু সাহিত্যপাতা কচিকাঁচার আসর এবং বাংলাদেশ বেতারের কলকাকলির রানারের ঝুলি’র অনুপ্রেরণায় আমার লেখালেখি জীবনের শুরু।

 চাকরি জীবনের শুরুটাও ইত্তেফাকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। নব্বই সাল থেকে আমি রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই পরিচালিত কচিকাঁচার আসরের নিয়মিত পাঠক এবং সদস্য হয়ে সাহিত্য অঙ্গনে টুকটাক লেখালেখির হাতেখড়ি। ইরাক ইরানের যুদ্ধের সময় পাঠকের মতামত পাতায়ও লিখেছিলাম বেশ কয়েকটি মতামত। ইত্তেফাকের ৭২ বছরের বর্ণাঢ্য পথচলার কিছুটা সঙ্গী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। যুগের সাথে তালমিলিয়ে ইতিহাস, রাজনীতি, প্রযুক্তির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইত্তেফাক গৌরবের সাথে টিকে আছে আজো।

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও ইত্তেফাকের রয়েছে সুনাম, সুখ্যাতি। পাকিস্তান আমল শেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ থেকে ২৪ এর গণবিস্ফোরণসহ সকল ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্মৃতির পাতায় কালের সাক্ষী হয়ে আছে এবং থাকবে পাঠক প্রিয় দৈনিক ইত্তেফাক।