জেরিন জাহান দিশা: আমাদের গ্রামের নাম বড় বাড়িয়া পুরাতন হাট। আমাদের গ্রামটি খলিশাকুন্ডি গ্রামের সাথে মিলিত। আমাদের গ্রামটি অনেক বড়। গ্রামে অনেক অলিগলি রয়েছে। আমাদের গ্রামের প্রধান সমস্যা হলো। আমাদের গ্রামের একটা বড় হাসপাতালের প্রয়োজন।গ্রামটি বড় হলেও গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে। মিরপুর বা কুষ্টিয়াতে যেতে হয়। ছোট খাট একটা হাসপাতাল আছে।যেখানে সাধারণ মানুষ ঔষধ নিতে গেলে পাইনা। ঔষধ নেই বলে।আমরা এতো বড় একটা গ্রামে বাস করি।অথচো কোনো একটা হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ব্যবস্থা নেই। আমাদের অনেক কষ্ট হয়।গুরুতর আহত ব্যক্তিকে যে চিকিৎসা দেবে।সেই হাসপাতালটাই নেই।আরো একটা আমাদের গ্রামের সমস্যা ।সেটা হলো রাস্তার এতো বড় একটা গ্রাম অথচো কোনো রাস্তাঘাট নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে এক হাঁটু পানি জমে। গ্রামের মেম্বার চেয়ারম্যান যদি একটু সাহায্য করতো।তাহলে আমরা এই কষ্ট থেকে অত্যন্ত মুক্তি পেতাম। কৃষকেরা তাদের ফসল বর্ষার সময় বিক্রি করতে রাস্তা দিয়ে যেতে পারেনা। আমাদের কাতলামারি হয়ে খলিশাকুন্ডি বাজারে আসতে হয়।এতে অনেক কষ্ট হয় আমাদের।অনেকবার রাস্তা করার জন্য মাপ নিতে আসে।তারপর আর কোনো
খোঁজ খবর পাওয়া যায়না। আমাদের গ্রামে রাস্তা ও হাসপাতালের বড়ই অভাব। মানুষ অসুস্থ হলে যে তাকে সুস্থ করার জন্য একটা হাসপাতাল প্রয়োজন সেটাও নেই। রাস্তাঘাট তো ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলে কাঁদায় ও পানিতে ভরে ওঠে। বিদ্যুৎ এর একটা সমস্যা ছিল
আমাদের মিরপুর থানায় সেটা আর নেই ২০১৫ সালে আমরা বিদ্যুৎ পাই।এখন ভালো একটা হাসপাতাল ও রাস্তার প্রয়োজন।যাতে করে
মানুষ সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। আমরা এই রাস্তা ও হাসপাতালের জন্য সবাই ভুক্ত ভোগী।